ওয়েন্সডে অ্যাডামস বর্তমানে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বহুল চর্চিত একটি সিরিজ। গত বছরের শেষদিকে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিরিজটি মুক্তির পর থেকেই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ওয়েন্সডে মূলত অ্যাডামস ফ্যামিলি ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি প্রিয় চরিত্র, যা প্রজন্ম ধরে তার ডার্ক চরিত্রের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা ওয়েন্সডে’কে দেখে আধুনিক যুগের কেউ বলে মনে হলেও ওয়েন্সডে’কে প্রথম কিন্তু দেখা যায় সেই চল্লিশের দশকে। এরপর বহু বছর পেরিয়ে গেছে, ওয়েন্সডে বড়ো হয়েছে এবং একটি বহুমুখী চরিত্রে বিকশিত হয়েছে। এখানে ওয়েন্সডের চল্লিশের দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জার্নিটি দেখানো হচ্ছে। চলুন ঘুরে আসা যাক!
ওয়েন্সডে অ্যাডামস: অ্যা জার্নি টু অ্যাডাল্টহুড
একদম প্রথম থেকেই, ওয়েন্সডে তার পরিবারের বাকিদের থেকে আলাদা ছিল। তার চরিত্রটি ছিল বেশ ডার্ক, তার বয়সী অন্যান্য বাচ্চারা যখন পুতুল নিয়ে খেলা করত তখন ওয়েন্সডে সেই পুতুলের মাথা কেটে মজা পেত। তার ছিল একটি পোষা মাকড়সা ও টিকটিকি। ওয়েন্সডে’র পরিবারটিও ছিল অন্য আর দশটি পরিবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বড়ো হওয়ার সাথে সাথে তার ব্যক্তিত্ব আরও বিদ্রোহী এবং ব্যক্তিসচেতন হয়ে ওঠে। সে ছিল অত্যন্ত স্বাধীনচেতা একজন কিশোরী।
দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি, দ্য নিউ ইয়র্কার (১৯৩৮)
‘দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি’ আমেরিকান কার্টুনিস্ট চার্লস অ্যাডামসের তৈরি একটি কাল্পনিক কার্টুন পরিবার। প্রথম ১৯৩৮ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনে একটি একক-প্যানেল কার্টুন হিসেবে এই সিরিজটি প্রকাশিত হয়েছিল। অ্যাডামস যেহেতু এই কার্টুনটি তৈরি করেছিলেন তাই এটি দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি নামেই পরিচিতি পায়। তবে এখানে এই পরিবারের সদস্যদের নাম ও তাদের ইতিহাস জানা যায়নি। এটি জানা যায় যখন কার্টুনটিকে প্রথমবারের মতো সিটকমে রূপান্তরিত করা হয়। দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি কার্টুনগুলি দ্য নিউ ইয়র্কারের পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়তা পায় এবং চরিত্রগুলি শীঘ্রই একটি টেলিভিশন সিরিজ, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য বিভিন্ন গেম তৈরি করার জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অ্যাডামস ফ্যামিলি তখন থেকে একটি সাংস্কৃতিক আইকনে পরিণত হয়েছে, যা তাদের ডার্ক সেন্স অফ হিউমার এবং অনন্য শৈলীর জন্য পরিচিত।
দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি সিটকম, এবিসি (১৯৬৪-৬৬)
অ্যাডামসের আঁকা কার্টুনটি অত্যাধিক জনপ্রিয় হতে শুরু করে এর সিটকম বের হওয়ার পর। ষাটের দশকে এর সিটকম বের হলে জানা যায় চরিত্রগুলোর নাম ও ইতিহাস। চরিত্রগুলোর মাঝে থাকা উদ্ভট স্বভাব ও ডার্ক হিউমারের কারণে সিটকমটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। অ্যাডামস ফ্যামিলি সেই সময়ের সাধারণ আমেরিকান পরিবারের থেকে ছিল আলাদা। যা ওই সময়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। এই পরিবারের নেতৃত্বে আছেন গোমেজ অ্যাডামস, যিনি একজন ধনী এবং আবেগপ্রবণ ব্যক্তি। পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী, একই সাথে কয়েকটি কোম্পানি ও স্টকের মালিক। গোমেজ তার স্ত্রী মর্টিসিয়াকে অসম্ভব ভালোবাসে।
অন্যদিকে মর্টিসিয়া একটি রহস্যময় চরিত্র। সব সময় তাকে লম্বা পা পর্যন্ত ঢাকা কালো পোশাকে দেখা যায়। সুন্দরী ও মার্জিত এই মহিলাটিও তার স্বামীকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। মর্টিসিয়াকে বিভিন্ন মাংসাশী উদ্ভিদের প্রতি আগ্রহী দেখা যায়। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। যার একজন হলো ওয়েন্সডে এবং অপরজন পাগস্লি। পাগস্লি বেশ গোলগাল স্বাস্থ্যের একজন সহজ সরল বাচ্চা। যার একটি পোষা অক্টোপাস আছে। অপর দিকে ওয়েন্সডেকে নিয়ে ওপরে আলোচনা করা হয়েছে সে একজন স্বাধীনচেতা ও অন্তর্মুখী চরিত্রের মেয়ে। তার হোমার নামের একটি পোষা মাকড়সা ও লুসিফার নামের একটি টিকটিকি রয়েছে।
⏩ আরও পড়ুন: Grave of the Fireflies : অ্যানিমে রিভিউ!
অ্যাডামস পরিবারে আরও বেশ কিছু চরিত্র রয়েছে, যেমন- আঙ্কেল ফেস্টার। যিনি মর্টিসিয়ার মায়ের বড়ো ভাই। তিনি টেকো মাথার এবং ভয়ঙ্কর দেখতে একজন ব্যক্তি যার বিস্ফোরক দ্রব্যের প্রতি অত্যন্ত ঝোঁক। একই সাথে তার রয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ক্ষমতা। উইচ গ্র্যান্ডমা অ্যাডামস যিনি গোমেজ অ্যাডামসের মা। তিনি একজন জাদুকর, যিনি জাদুবিদ্যায় ডুবে থাকেন। তিনি ক্রিষ্টাল বলের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ দেখতে পারতেন। এই পরিবারে লার্চ নামে একজন বাটলারও রয়েছে, যে বেশ প্রভাবশালী এবং প্রায়শই হার্পসিকর্ড বাজাতে দেখা যায় তাকে। আরও রয়েছে একটি কব্জি পর্যন্ত কাটা হাত, যার নাম থিং। থিং নানা ভাবে এই পরিবারটিকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে।
ওয়েন্সডে ইজ মিসিং, দ্য নিউ স্কুবি-ডু মুভিস (১৯৭২)
দ্য নিউ স্কুবি-ডু মুভিস (১৯৭২) এর তৃতীয় পর্বে অ্যাডামস ফ্যামিলিকে আরেকবার দেখা যায়। এই সিরিজের ‘ওয়েন্সডে ইজ মিসিং’ নামক পর্বে আমরা দেখতে পাই মিস্ট্রি মেশিন গ্যাংসহ একটি জলাধারের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাডামস ফ্যামিলির ভ্যান নষ্ট হয়ে গেলে তাদের সেই দুর্গতি থেকে উদ্ধার করে বাটলার লার্চ। তাদের অ্যাডামস ফ্যামিলির দুর্গে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে ওয়েন্সডে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। ফলে ওয়েন্সডেকে খুঁজতে গ্যাং তদন্তে সহযোগিতা করে। এই পর্বে পুরোনো গল্পে কিছুটা ভিন্নতা আনা হয়। এখানে মর্টিসিয়ার বড়ো ভাই আংকেল ফেস্টারকে আমরা গোমেজের নিজের ভাই হিসেবে দেখতে পাই। এই পর্বটিও দর্শকরা খুব পছন্দ করে।
দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি ফানহাউজ, এবিসি (১৯৭৩)
“দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি ফান হাউস” ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ABC-তে সম্প্রচারিত হয়েছিল।
এই সিরিজটি ভুতুড়ে এবং উদ্ভট অ্যাডামস পরিবারের বিভিন্ন দুঃসাহসিক কাজ এবং দুঃসাহসিকতার মধ্য দিয়ে তাদের পথচলাকে দেখানো হয়েছিল। এই সিরিজটিতে গোমেজ এবং মর্টিসিয়া অ্যাডামস, ওয়েন্সডে এবং পাগস্লে, আঙ্কেল ফেস্টার, দাদি এবং তাদের বাটলার লার্চকে দেখা যায়। এই শোতে জ্যাক রাইলি গোমেজ চরিত্রে এবং লিজ টরেসকে মর্টিসিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন।
“দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি ফান হাউস” চলমান অবস্থায় এটি সেই সময় দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। তারা এটি বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছিল এবং এখন পর্যন্ত অ্যাডামস ফ্যামিলি ফ্র্যাঞ্চাইজির ভক্তদের মধ্যে এটি একটি প্রিয় কাল্ট ক্লাসিক হিসেবে রয়ে গেছে।
হ্যালোউইন উইথ দ্য নিউ অ্যাডামস ফ্যামিলি, এনবিসি (১৯৭৭)
“হ্যালোইন উইথ দ্য নিউ অ্যাডামস ফ্যামিলি” (১৯৭৭) সালে এনবিসি-তে সম্প্রচারিত হয়েছিল। এটি ১৯৬০-এর দশকে প্রচারিত “দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি” টেলিভিশন সিরিজের মূল কাস্টের জন্য পুনর্মিলন বলা যায়। যার মধ্যে জন অ্যাস্টিন ছিলেন গোমেজ চরিত্রে, ক্যারোলিন জোনস মর্টিসিয়া এবং জ্যাকি কুগান আঙ্কেল ফেস্টারের ভূমিকায়।
মুভিতে, অ্যাডামস পরিবার একজন আত্মীয়, আন্টি শেলিয়া’র (তার চরিত্রে অভিনেত্রী ক্যারল চ্যানিং অভিনয় করেছেন) সঙ্গে দেখা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যার সাথে দীর্ঘদিন তাদের দেখা হয়নি। যাই হোক, তারা খুব শীঘ্রই আবিষ্কার করে যে আন্টি শেলিয়া আসলে একজন চোর যে তাদের পরিবারের ভাগ্য চুরি করার ষড়যন্ত্র করছে। অ্যাডামস পরিবারকে অবশ্যই তাকে থামাতে এবং তাদের বাড়ি বাঁচাতে একযোগে লড়াই করতে হবে।
মুভিটি দর্শকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। ১৬ মিলিয়নেরও বেশি দর্শক এটি দেখেছিল। মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও এটি ভক্তদের মধ্যে একটি প্রিয় হ্যালোইন ক্লাসিক হিসাবে রয়ে গেছে।
দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি মুভি (১৯৯১)
১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি’ সিনেমাটি নির্মাণ করেন ব্যারি সোনেনফেল্ড। অ্যাডামস পরিবারের মূল নির্মাতা চার্লস অ্যাডামস মারা যাওয়ার পর সিনেমাটি তিনি নির্মাণ করেন।
এখানে গোমেজ চরিত্রে অভিনেতা রাউল জুলিয়া এবং মর্টিসিয়া চরিত্রে অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিকা হুস্টন অভিনয় করেন এবং ওয়েন্সডে চরিত্রে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেন অভিনেত্রী ক্রিস্টিনা রিকি। এই সিনেমাটি প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর জনপ্রিয়তার জন্য এর ওপর ভিত্তি করে একটি ভিডিয়ো গেমও তৈরি করা হয়। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই সিনেমাটি সেই সময় ১৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল বক্স অফিসে। ১৯৯১ এরপর ১৯৯৩ সালে ‘দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি ভ্যালুস’ নামে এই সিনেমার সিকুয়েল নির্মিত করা হয়েছিল যেখানে প্রথম সিনেমার কাস্টিংদেরই আবারও অভিনয়ে দেখা যায়।
দ্য নিউ অ্যাডামস ফ্যামিলি (১৯৯৮-৯৯)
নব্বই দশকের শেষ দিকে আবারও দেখা মিলে অ্যাডামস ফ্যামিলির। আমেরিকান-কানাডিয়ান এই ৬৫ পর্বের সিটকমটি উত্তর আমেরিকান দর্শকরা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছিল।
দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি অ্যানিমেটেড মুভি (২০১৯-২১)
“দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি” অ্যানিমেটেড কমেডি হরর মুভিটি ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন কনরাড ভার্নন এবং গ্রেগ টিয়ারনান। এবং এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন অস্কার আইজ্যাক, চার্লিজ থেরন, ক্লো গ্রেস মোরটজ, ফিন ওলফার্ড, নিক ক্রোল, স্নুপ ডগ, বেট মিডলার এবং অ্যালিসন জ্যানি। সিনেমাটি ২০১৯ এ হ্যালোইন উপলক্ষে মুক্তি পায়। সাধারণ দর্শক এবং সমালোচকদের দ্বারা এটি বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। সমালোচকরা এর অ্যানিমেশন শৈলী, কণ্ঠ, অভিনয় এবং হিউমারের প্রশংসা করেছিলেন। এটি বক্স অফিসেও বেশ সফল হয়েছিল, বিশ্বব্যাপী ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছিল সিনেমাটি। এর সাফল্যের ফলে একটি সিক্যুয়াল ঘোষণা করা হয়েছিল, “দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি ২”, যা ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মুক্তি পায়।
ওয়েন্সডে, নেটফ্লিক্স (২০২২)
দ্য অ্যাডামস ফ্যামিলি একটি জনপ্রিয় সিরিজ যা বিগত কয়েক দশক ধরে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে আসছে। এর অদ্ভুত চরিত্র এবং ডার্ক হিউমার সব বয়সের দর্শকদের হৃদয় কেড়ে নিয়েছে। সম্প্রতি, অ্যাডামস পরিবারের গল্পে একটি নতুন অধ্যায় লেখা হয়েছে, এবং এটি ওয়েন্সডে অ্যাডামসের আইকনিক চরিত্রকে কেন্দ্র করে। এবং তা হলো নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ওয়েন্সডে সিরিজ।
সম্প্রতি প্রকাশিত Netflix সিরিজ “Wednesday” সারা বিশ্বে ঝড় তুলেছে, এর সাথে নতুন করে অ্যাডামস পরিবার এবং এর প্রিয় চরিত্রগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে জেনজি’দের মাঝে। যা একই সাথে জেনজি ও মিলেনিয়ালদের মধ্যে হইচই ফেলে দিয়েছে, যারা ক্লাসিক গল্পের আধুনিক মোড়ের বেশ প্রশংসা করেছে। নতুন Netflix সিরিজ ‘Wednesday’-এ আমরা এই পরিবারের মেয়ে ওয়েন্সডে অ্যাডামস-এর একটি কিশোরী সংস্করণ দেখতে পাই।
আটটি পর্ব নিয়ে গঠিত এই সিরিজটি মুক্তির পর থেকে জেনজি এবং মিলেনিয়ালদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। ভক্তরা এর ডার্ক হিউমার, গল্পে নতুনত্ব এবং আকর্ষণ ক্ষমতার জন্য সিরিজটির প্রশংসা করেছেন। সিরিজের একটি অসাধারণ দিক হলো কাস্টদের অভিনয়, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনেত্রী জেনা ওর্তেগার অভিনয় দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে। ওয়েন্সডের চরিত্রে ওর্তেগার অভিনয়ের গভীরতা এবং চরিত্রের জটিলতাকে ফুটিয়ে তোলার দক্ষতার জন্য তিনি বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি তার আইকনিক ভূমিকায় অভিনয়ে একটি নতুন মাত্রা এনেছেন।
⏩ আরও পড়ুন: পছন্দের সিনেমা দেখার জন্য সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইট!
বেশ আকর্ষক কাহিনি এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের পাশাপাশি, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাইরে সিরিজটির পর্দার আড়ালে যেসব নির্মাতারা কাজ করেছেন তারা হলেন নির্মাতা আল গফ এবং মাইলস মিলার, যারা ‘স্মলভিল’ এবং ‘ইনটু দ্য ব্যাডল্যান্ডস’-এর মতো হিট শোতে তাদের কাজের জন্য পরিচিত। সিরিজটি টিম বার্টনও প্রযোজনা করেছেন, যিনি তার নান্দনিক শৈলী এবং ডার্ক কাজের জন্য বিখ্যাত।
সামগ্রিকভাবে, ‘ওয়েন্সডে অ্যাডামস’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ভক্তদের জন্য এবং যারা ডার্ক কমেডি ও মিস্ট্রি জনরা উপভোগ করেন তাদের জন্য অবশ্যই এটি একটি ভালো সিনেমা। এর শক্তিশালী গল্প, ব্যতিক্রমী কাস্ট এবং অনন্যতার জন্য এই সিরিজটি নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে আলোচিত শো-গুলির মধ্যে একটি হয়ে ওঠেছে।
*********
প্রিয় পাঠক, এই ছিল— ওয়েন্সডে অ্যাডামস সিরিজের ইতিহাস ও এর সম্পর্কে বিস্তারিত! আজকের পোস্ট এই পর্যন্ত। পোস্টটি ভালো লাগলে পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আপনার কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করুন। এই ধরনের পোস্ট আরও পড়তে ডেইলি লাইভ সাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন।
অনেক দারুন একটা সিরিজ
ওয়েন্সডে অ্যাডামস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক আলোচনা দেখেছি। এই লেখার মাধ্যমে নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম।