বাজারে সাজানো সবজির মধ্যে কমলা রঙবিশিষ্ট গাজর সবারই খুব পরিচিত। আর্দশলিপি বইয়ে খরগোশের প্রিয় খাদ্য হিসাবে এই গাজরকে চিনে এসেছি আমরা। তবে সুপারফুড খ্যাত এই আর্কষণীয় গাজর কেবল খরগোশের প্রিয় খাদ্য় তা নয়, অধিকাংশ মানুষই গাজরের প্রাকৃতিক মিষ্টি বা সুস্বাদু স্বাদকে বেশ পছন্দ করেন। কেবল যে গাজর খেতে ভারি মজা তা নয়, এর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। তবে এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তো, ডেইলি লাইভের আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব— গাজর কী, গাজরের ব্যবহার, গাজরের পুষ্টি উপাদান এবং গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। চলুন শুরু করা যাক।
গাজরের নানাবিধ উপকারিতা ও অপকারিতা
গাজর:
গাজর বা Carrot হলো এক ধরনের মূল জাতীয় সবজি। গাজর ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ শ্রেণির Apiales বর্গের Apiaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। গাজরের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Daucus carota। গাজরের আদি বাসস্থান ইউরোপ এবং দক্ষিন-পশ্চিম এশিয়া। বর্তমানে পৃথিবীতে উৎপাদিত গাজরের প্রায় অর্ধেকই উৎপাদন করে চীন। বাংলাদেশে সাধারনত শীতের মৌসুমে গাজর চাষ করা হয়। গাজর বিভিন্ন রঙয়ের পাওয়া যায়, যেমন- হলুদ, সাদা,লাল, কমলা, ইত্যাদি। তবে, বাংলাদেশে কমলা রঙয়ের গাজরই জনপ্রিয় ও সহজলভ্য। অন্যান্য রঙয়ের গাজর সচরাচর দেখা যায় না।
গাজরের পুষ্টি উপাদান:
শীতকালীন সবজি গাজর দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, সুন্দর ও খেতে যেমন সুস্বাদু; ঠিক তেমনই এটিতে বিদ্যমান রয়েছে নানা পুষ্টি। এর মধ্যে বিদ্যমান নানা পুষ্টি উপাদানে মুগ্ধ হয়েই পুষ্টিবিদরা একে আখ্যা দিয়েছে ‘সুপারফুড’ হিসাবে। পুষ্টিগুণে ভরপুর গাজর দেখতে আর্কষণীয় ও সুন্দর হওয়ার পেছনে বিদ্যমান রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি উপাদান। এছাড়াও গাজরে উপস্থিত রয়েছে- খাদ্য শক্তি, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ (ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,সোডিয়াম, জিংক, লৌহ, ইত্যাদি), বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন (লুটিন জিয়াক্সানথিন, থায়ামিন (বি১), রিবোফ্লোভিন (বি২), নায়াসিন (বি৩), প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫), ভিটামিন বি৬, ফোলেট (বি৯), ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ইত্যাদি), খাদ্যআঁশ, ইত্যাদি। এত এত পুষ্টি উপাদান থাকার কারণেই পুষ্টিবিদরা নিয়মিত গাজর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মজার বিষয় হলো, আমাদের জনসাধারণ এসব পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানে না বলেই এখনো গাজরের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে। না হয় গোরুর বা খাসির মাংসের মতো আকাশচুম্বী দাম হতো গাজরের। যাই হোক, এতক্ষণ জানলাম গাজরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। তবে, এবার চলুন জেনে নিই, এর নানাবিধ ব্যবহার সম্পর্কে।
গাজরের নানাবিদ ব্যবহার:
গাজর এমন একটি সবজি যেটা কাঁচা এবং রান্না দুই ভাবেই খাওয়া যায়। মূলত গাজর গাছের মূল বা কমলা রঙের অংশটুকুই গাজর হিসাবে পরিচিত। এই কমলা রঙের অংশটুকুই মানুষ খেয়ে থাকে। তবে, গাজরের পাতাও ফেলনা নয়। গাজরের পাতা গবাদি পশুর বেশ প্রিয় খাদ্য।
গাজর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সালাদে। এছাড়াও গাজরের স্যুপ, সতে, আচার, ইত্যাদি হিসাবেও খাওয়া যায়। গাজর ছাড়া যে রান্না একেবারেই সম্ভব নয় তা হলো চাইনিজ ভেজিটেবল। তবে বাঙালিরা গাজর ভাজি, মাছের পাশে দিয়ে খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সত্যি বলতে গাজরের পুষ্টিগুণের মতোই এর ব্যবহারেরও রয়েছে বিচিত্রতা। যা বলে শেষ করা যাবে না।
আমরা তো গাজরের নানা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলাম। কিন্তু এসব পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের কী কী উপকার করে? তা জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি। তো চলুন প্রিয় পাঠক এই পর্যায়ে জেনে নিই, গাজরের নানবিধ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
গাজরের উপকারিতা:
গাজরের পুষ্টি উপাদানই জানান দেয়, এর নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে। গাজরের এত এত ওষুধি গুণ রয়েছে যা এই এক আর্টিকেলে লিখে শেষ করা যাবে না। তবুও সবার সুবিধার্থে বেশ কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো—
১। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
চোখ আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি অঙ্গ। এটি ছাড়া পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য আমাদের কাছে অধরা হয়ে থাকতো। তাই, আমাদের চোখের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। আশার কথা হলো, প্রতিদিন একটি মাঝারি সাইজের গাজর আমাদের চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে। আমরা জানি, ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। আর গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। যা নিজে নিজেই ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। এইজন্য অবশ্য গাজরকে ক্যারোটিনের রাজাও বলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০-৪০ হাজার শিশু ভিটামিন এ এর অভাবে অন্ধ হয়ে যায়। এসব শিশুদের বয়সসীমা মূলত ৫ মাস হতে ৫ বছর অবধি। আর প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখের মতো শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হয়। তাই, যদি শিশুকে সলিড খাবার দেওয়ার শুরু থেকেই ক্যারোটিনের রাজা গাজরকে তাদের সলিড খাবারের তালিকায় রাখা হয় ,তবে অনেক শিশুই এই অন্ধত্ব থেকে রেহাই পাবে। এইজন্য আপনার ঘরের শিশুকে নিয়মিত গাজর খাওয়ান। কেবল শিশুরা না,বড়োরাও প্রতিদিনের খাবার তালিকায় গাজর রাখুন।
২। শরীরের মেদ ও অতিরিক্ত ওজন কমায়:
বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর বা ভেজাল খাবার খাওয়ায় অনেকেরই শরীরেই অতিরিক্ত চর্বি জমে ওজন বাড়ে। যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আর অতিরিক্ত মেদ সৌন্দর্য কমায়। এইজন্য দেখা যায়, মানুষ মেদ বা চর্বি কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। হাজার হাজার টাকা খরচ করেও অনেকে চর্বি কমাতে পারে না। অবাক করা বিষয় হলো, এই সামান্য গাজর নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে। কারণ গাজরে ক্যালরির পরিমাণ কম এবং ফ্যাট থাকে না। ফলে, একটি গাজর খেলে পেট ঠিকই ভরবে, কিন্তু শরীরে ওজন বাড়বে না। এইজন্য স্বাস্থ্যবিদরা নিয়মিত গাজর খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে,গাজর ওজন কমায় বলে যে চিকন স্বাস্থ্যের মানুষ গাজর খেতে পারবে না তা কিন্তু নয়। গাজরে মাল্টি ভিটামিন বা পুষ্টি থাকার কারণে এটি সবার জন্যই উপকারি।
৩। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে:
মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি অঙ্গ হলো হৃৎপিণ্ড বা হৃদযন্ত্র। আর এটি সুস্থ থাকে যদি আমরা শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকি, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমাই এবং মানসিকভাবে চাপ মুক্ত থাকি তবে। কিন্ত আমাদের অনিয়মিত জীবন-যাপনের ফলে দেখা যায় হার্টের ধমনির ওপর চর্বি বা কিছুর আস্তরণ পড়ে এটি ধীরে ধীরে বিকল হয়ে যায়। এর ফলে দেখা দেয় বিপত্তি। জানা যায়, গাজরে রয়েছে ডায়ের্টরি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে। যা ধমনির ওপর চর্বি বা কোনো কিছুর আস্তরণ জমতে না দিয়ে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে।
৪। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে:
ক্যান্সারকে বলা হয় মরণব্যধি। সাধারণত আমরা খাবার খেলে তা হজম প্রক্রিয়ায় শরীরের শক্তি উৎপন্ন করে। তবে,হজমের পরও আমাদের শরীরের খাদ্যের কিছু উচ্ছিষ্ট অংশ থেকে যায়, যাদেরকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ফ্রি র্যাডিকেলস বা মৌল। এই ফ্রি র্যাডিকেলস আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলো আমাদের শরীরের কোষ নষ্ট করে। তাই, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার রাখা জরুরি। কেন না,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার ওইসব ফ্রি র্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যার দরুণ ক্যান্সারের কোষ কম উৎপাদন হয়। আর আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি যে, গাজর হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিপূর্ণ একটি সবজি। তাছাড়াও গাজরে বিদ্যমান রয়েছে ফ্যালকেরিনল এবং ফ্যালকেরিনডায়ল, যা আমাদের শরীরে অ্যান্টিক্যান্সার উপাদানগুলোকে শক্তিশালী করে। তাই নিয়মিত গাজর খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় এবং অনেক ক্যান্সারের (ব্রেস্ট, কোলন, ফুসফুস) ঝুঁকি কমে।
৫। লিভার সুস্থ রাখে:
নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের লিভারও সুস্থ থাকে। কারণ গাজরে বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, যা আমাদের লিভারে গিয়ে তাকে আমাদের দেহ হতে বিভিন্ন টক্সিন বা ক্ষতিকর উপাদান পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। তাছাড়াও গাজরে উপস্থিত উপাদান লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না, একই সাথে গাজরে থাকা ফাইবার আমাদের কোলন পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করে।
৬। দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে:
গাজর আমাদের হাড়ের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। কারণ গাজরে উপস্থিত রয়েছে অস্টিওপরোসিস, আথ্রাইটিস। এছাড়াও যদি সুস্থ ও সুন্দর দাঁত চান, তবে নিয়মিত গাজর খান। গাজরে থাকা মিনারেলগুলো আপনার দাঁত ও মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখবে এবং দাঁত মজবুত রাখতে সহায়তা করবে।
৭। কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে:
গাজর আমাদের কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কারণ গাজরের মধ্যে উপস্থিত রয়েছে পটাশিয়াম। এছাড়াও গাজরে ক্যালরি ও সুগারের পরিমান খুবই কম থাকে।
৮। ত্বক উজ্জ্বল এবং চুল মজবুত রাখে:
গাজর আমাদের চুল ও ত্বকের জন্যও বেশ উপকারি। এটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানগুলো আমাদের ত্বককে রাখে সুস্থ-সতেজ এবং চুলকে করে মজবুত। তাছাড়াও এসব পুষ্টি উপাদান আমাদের ত্বক শুকিয়ে যাওয়া রোধ করে, স্কিন টোন বা ত্বকের উজ্জ্বলত বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে রোদে পোড়া দাগ হতে রক্ষা করে।
এছাড়াও গাজর বয়সজনিত যে কোনো ব্যথা-বেদনা ও শরীরের জ্বালাপোড়া কমায়, শরীরের ক্ষত বা ইনফেকশন হওয়া হতে রক্ষা করে, শিশুর বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে, রক্ত শূন্যতা কমায়, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কিডনি ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে, ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা সামাধান করে।
⏩ আরও পড়ুন: ফুলকপির উপকারিতা ও অপকারিতা!
আমরা গাজরের নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। তবে, গাজরের কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আমাদের শরীরে যতটুকু যে উপাদান প্রয়োজন তার অতিরিক্ত গ্রহণ করলে তখন তা হিতে বিপরীত হয়। গাজরের ক্ষেত্রেও একই। অতিরিক্ত গাজর খাওয়া এবং কিছু বিশেষ সমস্যার ক্ষেত্রে গাজর খেলে তা বিপদ বয়ে আনতে পারে। তো চলুন জেনে নিই এসব অপকারিতা সম্পর্কে-
গাজরের অপকারিতা:
১। আমরা একটু আগেই জেনেছি, গাজর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এটি যেমন সত্যি ঠিক তেমনই এটাও সত্যি অতিরিক্ত গাজর গেলে তা অন্ত্র ক্যান্সার সৃষ্টি করে। কারণ বেশি পরিমানে গাজর খেলে তা অন্ত্রে অতিরিক্ত বিটা ক্যারোটিন জমা করে। তবে, এই ঘটনা একটু বিরল বটে।
২। গাজর খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গাজর খেলে তা আমাদের ত্বকের রঙে পরিবর্তন আনতে পারে। ( বিশেষ করে ত্বকের রং হলদে হতে পারে।)
৩। শিশুদের জন্য গাজর উপকারী বটে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গাজর শিশুরা খেলে তাদের দাঁতে ক্ষয় হওয়ার সমস্যা হতে পারে।
৪। গরমের সময় আমাদের সালাদ একটু বেশিই খাওয়া হয়। তবে যদি গরমে অতিরিক্ত পরিমানে গাজর খাওয়া হয়, তবে উচ্চ রক্তচাপ ও অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫। যেসব মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করান, সেসব মায়েরা অতিরিক্ত গাজর খেলে তাদের দুধের স্বাদ পরিবর্তন ঘটতে পারে। ফলে, বাচ্চার খাওয়ার প্রতি অনিহা সৃষ্টি হতে পারে।
তাছাড়াও প্রচুর পরিমানে গাজর খেলে তা বদহজম, ডায়রিয়া, বমিসহ পাকস্থলীর পাচনজনিত নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আবার, অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, গাজরের উপকারিতা কাজে লাগাতে চাইলে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে গাজর খেতে হবে। আর জটিল কোনো রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক গাজর খেতে হবে। রূপচর্চার ক্ষেত্রেও আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে, এটি আপনাকে স্যুট করে কিনা।
যাই হোক, প্রিয় পাঠক, এই ছিল— গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত! আজকের পোস্ট এই পর্যন্ত। পোস্টটি ভালো লাগলে পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আপনার কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করুন। এই ধরনের পোস্ট আরও পড়তে ডেইলি লাইভ সাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন।
i love carrots