পিটার ড্রুরির সেই বিখ্যাত কমেন্ট্রির কথা মনে আছে? ম্যাচ শেষ হতে আর মাত্র বাকি ছয় মিনিট। তিনি তখন বলে যাচ্ছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ ইজ অ্যা মিরাকল ক্লাব, ক্রেইজি থিংস হ্যাপেন হিয়ার…’ এরপর রদ্রিগোর অবিশ্বাস্য গোলে অবিশ্বাস্য একটা কামব্যাক। তারপর তিনি আবার বলে উঠলেন, ‘দে প্রেইড ফর মিরাকলস এন্ড মিরাকলস অ্যারাইভড। রিয়াল মাদ্রিদ, দ্য টিম অব ড্রিমস!’ এমন অবিশ্বাস্য ম্যাচ জয় যে শুধু রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষেই সম্ভব। রিয়াল মাদ্রিদ এমন একটা দল, যারা হেরে যাওয়ার আগে হারে না। আর তাই তো বারবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ বের করে আনে দলটা। বলা হয়, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কখনোই প্রথমে গোল করতে হয় না। পিছিয়ে পড়া রিয়াল মাদ্রিদ যে বড্ড ভয়ঙ্কর! প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভেঙেচুরে দিয়ে গোল করে জয় ছিনিয়ে আনতে ওস্তাদ দলটাকে দেখলে প্রথমে মনে হবে, এই বুঝি সব শেষ, কিন্তু তারপরেই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠে ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া, এ যেন নিত্যকার গল্প হয়ে উঠেছে দলটার। চলুন আজ জেনে নিই— স্পেন কিংবা বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্লাবটার গল্প!
রিয়াল মাদ্রিদ : দ্য টিম অব ড্রিমস
প্রতিষ্ঠা:
স্পেনের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ও সফল এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয় বিংশ শতাব্দীর একদম শুরুতে, ১৯০২ সালের মার্চ মাসে। মার্চের ৬ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ক্লাবটি। সে সময় ক্লাবটির নাম ছিল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব। পরে তার সাথে রিয়াল যুক্ত হয়। যা মূলত স্প্যানিশ শব্দ রয়্যালের প্রতিরূপ। প্রতিষ্ঠার ঠিক ৩ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদ স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে অ্যাটলেটিকো বিলবাওকে হারায় এবং তাদের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে। এরপর থেকে যত সময় পেরিয়েছে, ক্লাবটির ট্রফিকেস হয়ে উঠেছে নান্দনিকের চেয়েও নান্দনিক।
প্রথম লা লীগা জয়:
স্পেনের ফুটবলে যে লীগ অদ্যাবধি চালু আছে তার নাম লা লীগা। ১৯২৯ সালে প্রথম লা লীগা চালু হয়। প্রথম মৌসুমেই পুরো লীগে আধিপত্য দেখাতে থাকে রিয়াল। প্রথম সিজনেই প্রায় পুরোটা সময় লীগ টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে লীগের শেষ ম্যাচে অঘটন ঘটায় রিয়াল মাদ্রিদ। যে অ্যাটলেটিকো বিলবাওকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা জিতেছিল ক্লাবটি, সেই দলটির কাছেই হেরে বসে তারা। যার ফলে লীগের শীর্ষস্থানে উঠে আসে রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব বার্সালোনা। দ্বিতীয় স্থানে থেকেই সে বছর লীগ শেষ করে রিয়াল। ক্ষুধার্থ রিয়ালের মুখ থেকে এক প্রকার থাবা দিয়ে কেড়ে নেওয়া হয় শিরোপা। তবে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। ১৯৩১-৩২ মৌসুমে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম লীগ টাইটেল জয় করে রিয়াল মাদ্রিদ। স্পেনের ফুটবলে ক্লাবটি যে আধিপত্য বিস্তার করতেই জন্মেছে, তার বার্তা দিয়ে রাখে ফুটবল বিশ্বকে।
🔹 আরও পড়ুন: মোহাম্মদ আশরাফুল : দেশের ক্রিকেটের এক আক্ষেপ!
৫০ এর দশক ও রিয়ালের চমক:
১৯৫৬ থেকে ১৯৬০, এই পাঁচটি বছরকে বলা হয় রিয়ালের সবচেয়ে সফল পাঁচটি বছর। এই পাঁচ বছরে রিয়াল পরপর পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের অনন্য রেকর্ড করে। এই ইউরোপিয়ান কাপই বর্তমান উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ। টানা পাঁচ ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদকে উয়েফা ব্যাজ অব অনার উপাধি দেওয়া হয় এবং ইউরোপিয়ান কাপের আসল শিরোপাটি দেওয়া হয়। এ সময় ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কেড়ে নিতে পারেনি কোনো দেশের বাঘা বাঘা সব ক্লাবগুলো। রিয়ালের তৎকালীন সভাপতি ছিলেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। বলা হয় তিনিই আধুনিক রিয়াল মাদ্রিদের কারিগর। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরেই মূলত বদলে যায় স্পেনের রাজকীয় এই ক্লাবটির চেহারা। দলটির কাণ্ডারি হয়ে আসা এই প্রেসিডেন্ট একে একে দলে ভেড়ান আলফ্রেড ডি স্টেফানো, ফেরেংক পুসকাস, মিগুয়েল মুনজো, হেক্টর রিয়াল ও ফ্রান্সিস্কো জেনটোর মতো তারকাদের। যার ফলে পরপর ৫টি ইউরোপিয়ান কাপ জিততে সমর্থ হয়েছিল দলটি। যার সম্মানেই আজ রিয়ালের হোম গ্রাউন্ড স্টেডিয়ামটির নাম রাখা হয়েছে এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যু।
লা দেসিমা জয়:
দেসিমা শব্দের অর্থ দশ। রিয়াল মাদ্রিদের দশম চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জয়কেই মূলত লা দেসিমা নামে ডাকা হয়। লা ডেসিমা জয়ের আগে ২০০২ সালে সর্বশেষ নবমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর সিজনের পর সিজন শুধুই অপেক্ষার গল্প। লা দেসিমা তো আর ধরা দেয় না। বহুল আকাঙ্খিত ট্রফিটাও আর ছুঁয়ে দেখা হয় না লস ব্লাঙ্কোসদের। ২০০২-২০০৩ মৌসুমের পর ২০১০-১১ মৌসুমে প্রথম সেমিফাইনালে ওঠে রিয়াল। আশায় বুক বাঁধে তারা। কিন্তু মেসির বার্সালোনার কাছে স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয় রিয়ালকে। পরের মৌসুমটাও ব্যর্থতায় কাটে রিয়ালের। সেমিতে উঠলেও এবার ভাগ্য কাড়ে জার্মানির দানব বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠে পেনাল্টি শ্যুটআউটে কপাল পোড়ে রিয়ালের। স্তব্ধ বার্নাব্যুতে তখন পিনপতন নীরবতা। রোনালদো কাঁদেন, রামোস কাঁদেন। কিন্তু কান্না তো আর এনে দেবে না আরাধ্য শিরোপা। পেনাল্টি মিসের পর রোনালদো বলেন, ‘আমার কাছে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ আপনাদের প্রাপ্য।’ সেই পণ কাজে দিয়েছিল বটে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে এক প্রকার কাঁদিয়ে লা ডেসিমা জিতে নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
২০১৪ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল হয়েছিল পর্তুগালের লিসবনে। এই পর্তুগালে জন্মেছিলেন রিয়ালের তিন কিংবদন্তি ফুটবলার। লুইস ফিগো, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং পেপে। তাদের শহরে ফাইনাল। সেমিতে বায়ার্নকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে ১২ সালের হারের প্রতিশোধ নেওয়া হয়ে গেছে আগেই। ফাইনালে প্রতিপক্ষ নগর প্রতিদন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আরও একটি শৈল্পিক মাদ্রিদ ডার্বি দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল বিশ্ব।
যথাসময়ে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। দুই দলই খেলে যাচ্ছিল সমান তালে। এক দল আক্রমণে যায় তো অন্য দল প্রতি আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের। কিন্তু প্রথম হাসি হাসে অ্যাটলেটিকোই। মাদ্রিদিস্তাদের হতাশ করে প্রথমার্ধের ছত্রিশ মিনিটে প্রথম গোল পায় তারা। গোডিনের গোল বুঝিয়ে দেয়, লা ডেসিমার স্বপ্ন এত সহজে ধরা দেবে না, বল তখনো রিয়ালের কোর্টের বাইরে। তারপর সময় গড়ায়, প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই শেষ করে অ্যাটলেটিকো। তারপর শুধুই অপেক্ষা। ষাট, সত্তর, আশি… অ্যাটলেটিকোর ডিফেন্ডারদের বারবার পরীক্ষা নিতে থাকে বেল, বেনজেমা, ডি মারিয়া, রোনালদোরা। কিন্তু সমতাসূচক গোল আর আসে না। শেষ হয় নব্বই মিনিট। অতিরিক্ত সময়টুকু পেরিয়ে গেলেই প্রথমবারের মতো আরাধ্য ট্রফিটার ছোঁয়া পেয়ে যাবে অ্যাটলেটিকো। কিন্তু রিয়াল তো রিয়ালই। পিছিয়ে পড়া রিয়াল যে কেমন ভয়ঙ্কর আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে তা ফুটবল ফ্যানরা ভালোই জানেন। ঠিক এ সময়ই রিয়ালের ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন স্প্যানিশ ব্যাড বয় সার্জিয়ো র্যামোস। পাগলাটে এই ডিফেন্ডারের গোলে সমতা ফেরায় রিয়াল। ঘড়িতে সময় তখন পেরিয়েছে ৯২:৪৮ মিনিট, সেই থেকে বিরানব্বই মিনিট আটচল্লিশ সেকেন্ড সময়কে ধরা হয় প্রাণ ফিরে পাওয়ার সমতুল্য হিসেবে। সেইদিন যে লিসবনে রূপকথা লিখতেই গিয়েছিল রিয়াল, তা বুঝিয়ে দেয় পরের ত্রিশ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সমর্থকরা ততক্ষণে স্তব্ধ হয়ে দেখেছে আগ্রাসী রিয়ালের মারণকামড় কতটা ভয়ানক। এই তো রিয়াল, এই তো রিয়াল মাদ্রিদ।
🔹 আরও পড়ুন: টিকিটাকা : শুরুটা হয়েছিল যেভাবে!
টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়:
২০১৪ তে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতলেও পরের মৌসুমেই চাকরি হারান তৎকালীন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। ইটালিয়ান এই মাস্টারমাইন্ড চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এনে দিলেও এনে দিতে পারেননি লা লীগা। এরপরেই ধুমকেতুর মতো দৃশ্যপটে হাজির হন রিয়াল ও ফ্রান্সের সাবেক তারকা জিনেদিন জিদান। ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ও ২০০৬ এ বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া এই মহাতারকা দায়িত্ব নেন রিয়াল মাদ্রিদের। এসেই দৃশ্যপট পালটে দেন। ২০১৬-২০১৮ টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতান রিয়াল মাদ্রিদকে। ২০১৪ থেকে ২০২৪, এই দশ বছরে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতে পাঁচটি, আরেকটি জেতার একদম দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াল। ২ জুন ২০২৪ ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারাতে পারলেই ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতা হয়ে যাবে রিয়ালের। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে এত শিরোপা যে নেই অন্য কোনো দলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা যেই এসি মিলানের তাদের টাইটেল যে মোটে সাতটা, রিয়ালের অর্ধেক! দুই তারিখের ফাইনালটা জিতে নিলে রিয়ালের ট্রফির সংখ্যা দাঁড়াবে এসি মিলানের ট্রফির দ্বিগুণের চেয়েও বেশি! সাধে কী আর রিয়াল মাদ্রিদকে ইউসিএল বস কিংবা ইউসিএল কিং বলে ডাকে মাদ্রিদিস্তারা?
জিদানের পর আবারও রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে ফিরেছেন কার্লো আনচেলোত্তি। গত বছর সেমি ফাইনালে সিটির কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের স্বপ্ন ভাঙলেও এ বছর তার অধীনেই রিয়াল জিতেছে স্প্যানিশ সুপার কাপ ও লা লীগা। লা লীগায় গোটা মৌসুমে মাত্র ১টি ম্যাচ হেরেছিল। অপ্রতিরোধ্য এই দলটার আর মাত্র একটি ম্যাচ জেতা বাকি। আনচেলোত্তি কি পারবেন তার ছাত্রদের দিয়ে ম্যাচটা জিতিয়ে স্পেনে ফিরতে? তিনি যে ডন! যিনি ভ্রু নাচিয়ে বদলে দিতে জানেন ম্যাচের ট্যাকটিক্স আর ফরমেশন। ইতিহাসের অন্যতম সফল এই কোচ রিয়াল মাদ্রিদকে আরও একবার সফলতার মুকুট পরাবেন এই প্রত্যাশা সবার।
এক নজরে রিয়াল মাদ্রিদ:
- ক্লাবের নাম: রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব দে ফুটবল
- ডাক নাম: অল হোয়াইটস, লস ব্লাঙ্কোস
- ফ্যানবেইজ: মাদ্রিদিস্তা
- দেশ: স্পেন
- শহর: মাদ্রিদ
- প্রতিষ্ঠা: ৬ই মার্চ, ১৯০২ সাল
- হোম গ্রাউন্ড: সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়াম
- প্রেসিডেন্ট: ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ
- ম্যানেজার/কোচ: কার্লো আনচেলোত্তি
রিয়াল মাদ্রিদের ট্রফি ও অর্জনসমূহ:
- চ্যাম্পিয়ন্স লীগ: ১৪ টি
- লা লীগা: ৩৬ টি
- ক্লাব বিশ্বকাপ: ৫ টি
- কোপা দেল রে: ২০ টি
- ইউরোপা লীগ: ২ টি
- স্প্যানিশ সুপার কাপ: ১৩ টি
- উয়েফা সুপার কাপ: ৫ টি
🔹 আরও পড়ুন: ফুটবল বিশ্বকাপের আট মজার ঘটনা!
শেষ কথা:
ফুটবল হাসায়, ফুটবল কাঁদায়। ফুটবল আশায় বুক বাঁধায়। ফুটবল থামিয়ে দেয় গৃহযুদ্ধ, থামিয়ে দেয় হৃদস্পন্দন। ফুটবল এগিয়ে চলে ফুটবলারদের শৈল্পিক পায়ের জাদুতে। রিয়াল মাদ্রিদ সেই শিল্পের সবচেয়ে বড়ো শিল্পী। যারা মরার আগে মরে না। হারতে হারতেও অবিশ্বাস্যভাবে জিতে ফিরে আসে। ঠিক যেন ফিনিক্স পাখির মতন। আর তাই দুইটা কথা খুব প্রচলিত ফুটবল বিশ্বে। আর তা হলো— কখনোই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আগে গোল করতে নেই এবং সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৯০ মিনিট অনেক দীর্ঘ সময়!