অনলাইন শপিং করার টিপস!

অনলাইন শপিং করার টিপস!

এখনকার দিনে অনলাইনে কেনাকাটার গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। দিনে দিনে যে আরও বাড়বে তা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। দেশে ইভ্যালি কেলেংকারি না হলে এতদিনে ই-কমার্স ব্যবসায় অনেক গ্রোথ হতো। তো যাই হোক, এই পোস্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটার সময় যেসব বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করা। ডেইলি লাইভের পাঠকদের জন্য এই পোস্টে আমরা— অনলাইন শপিং করার টিপস শেয়ার করেছই। চলুন, টিপসগুলো কী কী দেখা যাক।

অনলাইন শপিং করার টিপস:

পরিচিত কারও ওয়েবসাইট থেকে কেনা

পরিচিত কেউ অনলাইনে আপনার কাঙ্খিত পণ্যটি বিক্রয় করছে কিনা তা যদি আপনি জানেন তাহলে উনার সাইটে বা পেজে অর্ডার দিতে পারেন। কারণ সাধারণত পরিচিতরা আপনাকে খারাপ জিনিস দেবে না এতটুকু নিশ্চয়তা তো পাওয়াই যায়। আমার পরিচিত ই-কমার্স সাইট হলো- J2G Mart

গুগল সার্চ করার মাধ্যমে

গুগলে কোনো কিছু সার্চ দিলে আপনি আপনি সেসব ওয়েবসাইটকেই র‍্যাংকিংয়ে পাবেন যারা সত্যিকার অর্থেই ভালো কিছু করছে! অবাক হচ্ছেন? গুগলে একটা প্রডাক্ট র‍্যাংক করা সত্যিই খুব দুরূহ একটা ব্যাপার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুগল তাদেরকেই প্রথম পেজে রাখে যারা বিশ্বস্ত, যাদের ওয়েবসাইটে মানুষজন সময় দেয়, কেনাকাটা করে।

প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ভালোভাবে চেক করুন

গুগল চেক করে যে পেজ আপনি পেয়েছেন সে পেজের ডেসক্রিপশন ভালোভাবে চেক করুন। নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি যে পণ্যটি কিনছেন এটিই সেটি কিনা। সব ফিচার ঠিকঠাক মতো বর্ণনা করা আছে কিনা। কপি পেস্ট করা পণ্যের বিবরণ দেখলে বুঝবেন সাইটের মালিক তার পণ্য সম্পর্কে হয়তো ভালো জ্ঞান রাখেন না।

⏩ আরও পড়ুন: ফুলকপির উপকারিতা ও অপকারিতা!

FAQ (ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড কোয়েশ্চন) চেক করুন

পণ্য বা প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন চেক করার পরও যদি আপনি নিশ্চিত না হতে পারেন বা আপনার খুঁজতে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর পুরোপুরি না পান তাহলে প্রোডাক্ট পেজের নিচে FAQ অংশে কিছু প্রশ্নোত্তর পাবেন, সেগুলো দেখতে পারেন।

রিভিউগুলো চেক করুন

যারা ইতোমধ্যেই আপনার পছন্দের পণ্যটি কিনে ব্যবহার করছে তাদের মতামত জানার সহজ উপায় হচ্ছে প্রডাক্ট পেজের রিভিউগুলো চেক করা।

সাইটের ফেসবুক পেজ ও গুগল ম্যাপের রিভিউ চেক করুন

আপনার নির্বাচিত ই-কমার্স সাইটের ফেসবুক পেজের রিভিউগুলো একটু চেক করে নেবেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা আরেকটু যাচাই হয়ে যাবে।

শিপিং চার্জ বা ডেলিভারির খরচ জানুন

পণ্য কেনার পূর্বেই ডেলিভারি কীভাবে হবে; আর এর জন্য কেমন খরচ পড়বে তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

ডেলিভারির সময় জেনে নিন

ডেলিভারি হতে কয়দিন সময় লাগবে তা নিশ্চিত হয়ে নিন। নাহলে হয়তো এমন সময় ডেলিভারি হবে, তখন আপনি আপনার বাসায় থাকবেন না।

রিটার্ন পলিসি দেখে নিন

আপনি যে পণ্যটি অর্ডার করবেন তা যদি আপনার মন মতো না হয়, তাহলে আপনি এটিকে রিটার্ন করতে পারবেন কিনা তা জেনে নিন।

অ্যাকাউন্ট খুলে নিন

অনেকেই অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রে নিজের অ্যাকাউন্ট না খুলেই সাইট থেকে কেনাকাটা করতে চান। এটা সম্ভব হলে পরিহার করুন। নিজের প্রোফাইল বানিয়ে তারপর অর্ডার করুন।

নিজের স্পর্শকাতর তথ্য শেয়ার করবেন না

নিজের স্পর্শকাতর কোনো তথ্য ই-কমার্স সাইটে শেয়ার করতে যাবেন না। যেমন- ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পাসওয়ার্ড।

সাইটটিতে পেমেন্ট সিকিউর কিনা দেখে নিন

যে সাইটে পেমেন্ট করবেন, চেক করে দেখুন যে পেমেন্ট গেটওয়ে নিরাপদ কিনা। সন্দেহ হলে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পণ্য অর্ডার করুন।

⏩ আরও পড়ুন: Visa Check By Passport Number

সাইটে এসএসএল আছে কিনা দেখে নিন

সাইটে ভ্যালিড এসএসএল দিয়ে একে নিরাপদ করা না থাকলে, ওসব সাইটে তথ্য শেয়ার করা রিস্কি। তাই, এই ধরনের সাইট স্রেফ এড়িয়ে চলুন।

ডেবিট কার্ড ইউজ না করে ক্রেডিট কার্ড ইউজ করুন

আপনার ডেবিট কার্ড ইউজ না করে ক্রেডিট কার্ড ইউজ করুন। এতে আপনার কার্ড ও ব্যালেন্সের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন

পাবলিক ওয়াইফাই খুবই ভালনারেবল একটা কানেকশন। এর মাধ্যমে আপনার আইডি হ্যা’ক হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পাব্লিক ওয়াইফাই দিয়ে অনলাইন শপিং থেকে বিরত থাকুন।

**********

প্রিয় পাঠক, এই ছিল অনলাইন শপিং করার কিছু টিপস! এই অনলাইন শপিং করার টিপস গুলো ফলো করলে, আপনি অনলাইনে শপিং করার ক্ষেত্রে কখনো ঠকবেন না এবং কোনো সমস্যাতেও পড়বেন না! পোস্টটা ভালো লাগলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। আর এই ধরনের আরও পোস্ট পড়তে, ডেইলি লাইভের সাথে যুক্ত থাকুন।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

2 thoughts on “অনলাইন শপিং করার টিপস!”

  1. অনলাইনে শপিং প্রচুর করেছি। এরকম সাবধান থাকলে কখনো ঠকার চান্স নেই।

  2. অনলাইন শপিং করার ক্ষেত্রে এই পোস্টের টিপসগুলো বেশ কার্যকর।

মন্তব্য করুন:

Scroll to Top